শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি পালিত। গতকাল বিকেল ৪টায় সংগঠনের পূর্বঘোষিত লাল পতাকা র্যালি সংগঠনের জেল কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন : বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সুরুজ আলী, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শাহীন আলম। শাহপরান থানা কমিটির সাধারণ সম্পদাক নাজমুল হোসেন ,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী পটু , বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি সিলেট সদর উপজেলা অন্যতম নেতা আলী আহমদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম নেতা বদরুল আজাদ, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন রাজু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, সহ-সভাপতি জালাল মিয়া,জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান সাজু, ফেঞ্চুগন্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.রিপন মিয়া, জৈন্তাপুর আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি মো.ফয়জুল ইসলাম, বন্দর বাাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আম্বরখানা আঞ্চ্লিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ, তালতলা আঞ্চ্লিক কমিটির আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাগর আহমদ, জালালাবাদ আঞ্চলিক কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.রবিনসহ প্রমুখঃ
বক্তারা বলেন: শ্রমিক-কৃষক-জনগণ আজ গভীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা সামগ্রিক সংকটে জর্জরিত। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। এমনকি জীবনরক্ষকারী ঔষধপত্রের দামও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে হোটেল রেস্টুরেন্টের শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠী অনাহারে-অর্ধাহারে দিনানিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে। তেমনি অসুস্থ্য হয়েও নূন্যতম চিকিৎসাটুকু করাতে পারছে না। বক্তারা বলেন, বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ না হওয়ার কারণে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে ; মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র – পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদানের কথা থাকলেও মালিকরা তা প্রদান করেন না। এমনকি সরকারের শ্রমআইন বাস্তবায়নের জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগী শ্রম অধিদপ্তর ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যায় না। শ্রম আইন লঙ্ঘন করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই মালিকরা তাদের ইচ্ছামতো শ্রমিকদের শোষণ-নির্যাতন ও বে-আইনি ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর বিরুদ্ধে চলমান লড়াইকে অগ্রসর করার আহ্বান জানান।
সেইসাথে বলেন; শ্রমিক কৃষক জনগণের সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল শ্রমিক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ সকল অধিকার অর্জিত হবেনা ; শোষণমূলক সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণি সচেতন নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকার শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান এবং অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বিল বাতিলের দাবি জানান।
কিউএনবি/আয়শা/৬ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১১:২১