রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঈদে সরকারি ছুটি ১ দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন জনশক্তি বাজার খোঁজার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর সরকার ঘোষিত হজ্ব প্যাকেজের ওপর রুল জারি হাইকোর্টের আমরা সংবাদপত্রের সুখে-দুঃখে আছি: কাদের আইরিশদের সঙ্গে টেস্টের পর আইপিএলে খেলবেন সাকিব-লিটন বেপরোয়া গতির ট্রাকর খালে পড়ে যুবকের মৃত্যু পূর্বের শত্রুতার জের ধরে সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা  তুলশীগঙ্গা নদীর খননকৃত মাটি অবৈধভাবে বিক্রি বন্ধ ও কাউন্সিলরের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিশু জান্নাতুলের দায়িত্ব নিলেন দুর্গাপুরের যুবলীগ নেতা সাদ্দাম আকঞ্জি ডোমারে ফজিল উদ্দিন সরকার জামে মসজিদের ২য় তলা ছাঁদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কর্মচারী জীবন কোটিপতি অগাত সম্পদের পাহাড়,আয়ের উৎস কি?

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩৭ Time View

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগে ২৯ বছর কর্মরত জীবন বড়াল এক স্থানেই চাকুরি করে আজ তিনি কোটিপতি বনে। ঝালকাঠিতে তার রয়েছে প্রায় কোটি টাকার ফ্লাট। একাধিক দামি প্লট ও শহরের মধ্যে ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজি। রয়েছে নামে বেনামে একাধিক একাউন্ট ও বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ। সেই সাথে ভূয়া ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে তার স্ত্রীর নামে একটি প্যাথলজি পরিচালনা করেন। এসব তথ্য উপাত্ত পেয়ে তার সাথে কথা বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। যা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ে জীবন বড়ালের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলা হয়েছে। সামান্য বেতন স্কেলে এই কর্মচারীর বিলাশ বহুল জীবন যাপন ও আয়ের উৎস কি? কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে একই হাসপাতালে একই স্থানে ২৯ বছর কর্মরত থাকায় এখানে তিনি এক দূর্নীতির আতুরঘর তৈরি করে সরকারের অর্থ আত্মসাত ও অনৈতিক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।১৯৯৩ সনে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ল্যাব টেকনোলজিষ্ট পদে যোগ দান করেন জীবন বড়াল। তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে তখন তার বেতন স্কেল ছিল ১৯৯১ সনের জাতীয় বেতন স্কেল ১৭শ ২৫ টাকা। ২৯ বছরের চাকুরি জীবনে এতো বিশাল বিত্তবৈভবের উৎসের সাথে তার আয়ের কোন মিল নেই। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে এটা পরিস্কার।তার এখানে দীর্ঘ সময় থাকায় প্যাথলজি বিভাগের আয় নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিদিনের সেবার আয়ের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়না। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম যোগদান করেই জীবন বড়ালকে প্যাথলজি বিভাগ থেকে সরিয়ে দেন। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনেত প্যাথলজি বিভাগের হিসাব কাউন্টারে জমা স্লিপের মাধ্যমে অর্থ গ্রহন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ঠিক এরপরই বিগত দিনে জীবন বড়ালের দেয়া হিসাবের সাথে প্যাথলজি সেবার নতুন হিসাবের বিশাল গড়মিল ধরা পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কর্তৃপক্ষ এখনো তাকে এখানেই বহাল তবিয়তে থাকার সুযোগ দিলেন কেন এর পিছনে কোন স্বার্থ আছে কিনা তা নিয়ে সেবা গ্রহিতারা প্রশ্ন তুলেছেন।আগামী পর্বে থাকবে জীবন বড়ালের কাছে প্যাথলজি বিভাগের হিসাব থাকার সময় এবং কাউন্টারে হিসাব চলে যাবার পর গড়মিলের বিস্তারিত তথ্য। তবে এসব বিষয় জীবন বড়াল বলেন, আমি কোন অনিয়ম দূর্নীতি করিনি। আমার সব সম্পদের হিসাব আমার কর্মস্থল ও আয়কর অফিসে দেয়া আছে। আমার যা অর্থ সম্পদ আছে সব বেতনের টাকায় করেছি বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,আমার যে বাড়িটির ছবি কথা বলেছেন ওই বাড়িটি আমার একার নয়। দশ জনে মিলে করেছি।এ ব্যাপারে তত্তাবধায়ক ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে কি করেছেন তা আমি জানিনা,তবে আমি যোগদানের পর থেকে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। কারণ অর্থের হিসাব নিকাশ এখন আর তার কাছে নেই। তবে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা পরবর্তি পদক্ষেপ নিব।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ জানুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:১০

সম্পর্কিত সকল খবর পড়ুন..

আর্কাইভস

April 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© All rights reserved © 2022
IT & Technical Supported By:BiswaJit
themesba-lates1749691102