শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কর্মচারী জীবন কোটিপতি অগাত সম্পদের পাহাড়,আয়ের উৎস কি?

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৫২ Time View

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগে ২৯ বছর কর্মরত জীবন বড়াল এক স্থানেই চাকুরি করে আজ তিনি কোটিপতি বনে। ঝালকাঠিতে তার রয়েছে প্রায় কোটি টাকার ফ্লাট। একাধিক দামি প্লট ও শহরের মধ্যে ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজি। রয়েছে নামে বেনামে একাধিক একাউন্ট ও বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ। সেই সাথে ভূয়া ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে তার স্ত্রীর নামে একটি প্যাথলজি পরিচালনা করেন। এসব তথ্য উপাত্ত পেয়ে তার সাথে কথা বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। যা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ে জীবন বড়ালের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলা হয়েছে। সামান্য বেতন স্কেলে এই কর্মচারীর বিলাশ বহুল জীবন যাপন ও আয়ের উৎস কি? কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে একই হাসপাতালে একই স্থানে ২৯ বছর কর্মরত থাকায় এখানে তিনি এক দূর্নীতির আতুরঘর তৈরি করে সরকারের অর্থ আত্মসাত ও অনৈতিক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।১৯৯৩ সনে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ল্যাব টেকনোলজিষ্ট পদে যোগ দান করেন জীবন বড়াল। তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে তখন তার বেতন স্কেল ছিল ১৯৯১ সনের জাতীয় বেতন স্কেল ১৭শ ২৫ টাকা। ২৯ বছরের চাকুরি জীবনে এতো বিশাল বিত্তবৈভবের উৎসের সাথে তার আয়ের কোন মিল নেই। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে এটা পরিস্কার।তার এখানে দীর্ঘ সময় থাকায় প্যাথলজি বিভাগের আয় নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিদিনের সেবার আয়ের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়না। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম যোগদান করেই জীবন বড়ালকে প্যাথলজি বিভাগ থেকে সরিয়ে দেন। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনেত প্যাথলজি বিভাগের হিসাব কাউন্টারে জমা স্লিপের মাধ্যমে অর্থ গ্রহন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ঠিক এরপরই বিগত দিনে জীবন বড়ালের দেয়া হিসাবের সাথে প্যাথলজি সেবার নতুন হিসাবের বিশাল গড়মিল ধরা পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কর্তৃপক্ষ এখনো তাকে এখানেই বহাল তবিয়তে থাকার সুযোগ দিলেন কেন এর পিছনে কোন স্বার্থ আছে কিনা তা নিয়ে সেবা গ্রহিতারা প্রশ্ন তুলেছেন।আগামী পর্বে থাকবে জীবন বড়ালের কাছে প্যাথলজি বিভাগের হিসাব থাকার সময় এবং কাউন্টারে হিসাব চলে যাবার পর গড়মিলের বিস্তারিত তথ্য। তবে এসব বিষয় জীবন বড়াল বলেন, আমি কোন অনিয়ম দূর্নীতি করিনি। আমার সব সম্পদের হিসাব আমার কর্মস্থল ও আয়কর অফিসে দেয়া আছে। আমার যা অর্থ সম্পদ আছে সব বেতনের টাকায় করেছি বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,আমার যে বাড়িটির ছবি কথা বলেছেন ওই বাড়িটি আমার একার নয়। দশ জনে মিলে করেছি।এ ব্যাপারে তত্তাবধায়ক ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে কি করেছেন তা আমি জানিনা,তবে আমি যোগদানের পর থেকে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। কারণ অর্থের হিসাব নিকাশ এখন আর তার কাছে নেই। তবে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা পরবর্তি পদক্ষেপ নিব।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ জানুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:১০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit