বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

দেশব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের আভাস, হতে পারে বৃষ্টি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : চলমান শৈত্যপ্রবাহে শীতে আরও বাড়তে পারে। এমন অবস্থা থাকতে পারে জানুয়ারি মাস জুড়ে। তারপরও ফেব্‌রুয়ারিতেও বইতে পারে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি আবারও দেশব্যাপী হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির ২ থেকে ৩ দিন পর ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এবারের শীত মৌসুম ঢাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। এ ছাড়া সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের চেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়তে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এবার শীত মৌসুম পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই থাকতে পারে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একটি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে শীতকালে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার প্রধান কারণ হলো- জলাভূমি, খাল-বিল, নদী-নালার পরিমান কমে কংক্রিটের অবকাঠামো বেড়ে যাওয়া। ঢাকায় আবহাওয়ার আচরণ হয়ে উঠছে সৌদি আরবের মরুভূমির মতো। মরুভূমি যেমন দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম ও রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডা হয়-ঢাকায়ও তেমনটি হচ্ছে। কারণ কংক্রিটের অবকাঠামো দিনের বেলায় দ্রুত সূর্যের তাপ শোষন করে গরম হয়ে উঠে ও রাতে দ্রুত তাপ ছেড়ে দিয়ে ঠান্ডা হয়ে পড়ে।

এদিকে, শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবারের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় শনিবার এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা খুব বেশি না নামলেও পাঁচ কারণে এবার শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মল্লিক।

তিনি বলেন, দেশে দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকছে। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ কম। মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কখনও বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে দেশ। ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশের দিকে প্রায় ২০০ মিটারের একটি কুয়াশাস্তর থাকে। এর কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং এর সংলগ্ন বাতাসের উষ্ণতা বাড়তে পারেনি। ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা অনেক কম। শীত মৌসুমে সাধারণত ওইসব এলাকা (উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমদিক) থেকে বাংলাদেশমুখী বাতাসের গতি থাকে। সেটাও শীতল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেঘমুক্ত আকাশ। সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলে বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে সময় লাগে। তাপমাত্রা ভূপৃষ্ঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারে। ফলে ধরণী শীতল হতে না হতেই নতুন দিনে সূর্যের আগমন ঘটে। এতে মেঘমুক্ত আকাশ ধরণীকে দ্রুত শীতল করে। পাশাপাশি দীর্ঘ-রজনী সূর্যের আগমন বিলম্বিত করে। এসব কারণ উপস্থিত থাকায় ঊর্ধ্ব আকাশের বাতাসের গতির জেট এপট্রিম (শীতল বাতাসের লাইন বা যেখানে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রি) নিচে (ভূপৃষ্ঠের দিকে) নেমে এসেছে। এসব কারণ মিলিয়েই বাংলাদেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/০৭ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:৪৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit