আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স থেকে হনলুলুতে যাচ্ছিল একটি বিমান। মাঝ আকাশে আচমকা শুরু হয় একের পর এক ঝাঁকুনি। এতে অন্তত ৩৬ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনসের এইচএ৩৫ ফ্লাইটটি হনলুলুর ড্যানিয়েল কে ইনোয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে রবিবার সকালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতের ফলে জ্ঞান হারানো এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতসহ ২০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া লোকদের মধ্যে প্রায় ১৭ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ মাস বয়সী একটি শিশু এবং একটি কিশোর ছিল।
বিমানের একজন যাত্রী জানিয়েছেন, ঝাঁকুনি এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে তারা বিমানের আসন থেকে ভেসে যাচ্ছিলেন। অন্য এক যাত্রী হাওয়াইয়ান সম্প্রচার মাধ্যম কেএইচওএনকে বলেছেন, তীব্র ঝাঁকুনি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল, তবে সেটি যাত্রীদের আহত করার জন্য যথেষ্ট ছিল।
মাঝ আকাশে ভয়াবহ ঝাঁকুনির পর বিমানের ভেতরে ক্ষয়ক্ষতি। (ছবি : এপি/বিমানযাত্রী জাজমিন বিতাঙ্গা)
ঝাঁকুনির সময় ওই এলাকায় বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। এয়ারবাস এ৩৩০-২০০ বিমানটিতে ২৭৮ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন।
এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানবন্দরে কয়েকজনকে সামান্য আঘাতের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয় এবং কয়েকজনকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জন স্নুক বলেছেন, তিনি জরুরি পরিষেবাগুলোর কাছে সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। আহত সবাই বেঁচে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সম্প্রতি হাওয়াইর অস্থিতিশীল আবহাওয়া বিমান চলাচলের জন্য বাধা সৃষ্টি করছে বলেও জানান তিনি।
বিমানটি পুনরায় পরিষেবাতে ফিরে যাওয়ার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থা।
সূত্র : বিবিসি
কিউএনবি/আয়শা/১৯ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:৩০