স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে প্রেমিকের সাথে ঝগড়ার পর অভিমান করে নবম শ্রেণির ছাত্রী মিরা খাতুন কিটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানাগেছে। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাড়িতে কিটনাশক পানের পর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধারের পর অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। নিহত মিরা খাতুন মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সালামের ছোট মেয়ে। বৃহস্পতিবার পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করিয়ে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রোজিপুর কেএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মিরা খাতুনের সাথে একই গ্রামের মধু শেখের ছেলে রুহুল আমিনের প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। গত বুধবার স্কুল থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে রুহুলের সাথে মিরার কথাকাটাকাটি হয়। ফলে প্রেমিকের উপর অভিমানে সন্ধ্যার পর বাড়িতে কিটনাশক পান করে মিরা। অবশ্য এ সময় তার পিতা-মাতা বাড়িতে ছিলেননা। পরে বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধারের পর অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত নয়টার দিকে মিরার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করিয়ে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। নেহালপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামান জানান, তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছেন প্রেমিক রুহুল আমিনের সাথে মিরার একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ভুল বোঝাবোঝি চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে পথিমধ্যে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
আর এ অভিমানে মিরা খাতুন কিটনাশক পানে আত্মহত্যা করে। মিরার পিতা আবদুস সালাম জানান, কি কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তিনি জানেননা। তবে এলাকাবাসী জানান, মিরার মৃত্যুর পর পরই প্রেমিক রুহুল আমিন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। মনিরামপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতভাই সুমন সরদার বাদি হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:৫০