ডেস্কনিউজঃ নড়াইলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন সরবরাহ করায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শনিবারের অনুষ্ঠেয় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে শনিবারে সৃজনশীল বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার বিকেলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
শুক্রবার বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত পনি/পিএ/১১৪/৬৭৩ নম্বর স্মারক সম্বলিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত শনিবার অনুষ্ঠেয় বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। ওই বিষয়ের শুধুমাত্র সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে।’
তিনি আরো জানান, এ বিষয়টি সকল কেন্দ্র সচিবকে জানানো হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ ও নড়াইলের একাধিক কেন্দ্রের সচিবের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এ দিন তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বাংলা প্রথম পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করেন।
সূত্র হতে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টরা ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ও বাঐসোনা কেন্দ্রে ১৫ জনের মধ্যে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় এবং দিঘলিয়া কেন্দ্রে প্যাকেট খুলে সরবরাহের আগেই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে।
বাঐসোনা কেন্দ্র সচিব অমলেন্দু হিরা বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পরপরই তারা প্রশ্নপত্র দেয়া বন্ধ করে দেন।
দিঘলিয়া কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র কুন্ডু ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায় চাপান শিক্ষাবোর্ডের ওপর। তার দাবি, বোর্ড থেকে সরবরাহকৃত প্রথম পত্রের প্যাকেটে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। ১০০টি প্রশ্নপত্র ছিল ওই প্যাকেটে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের আগেই বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কালিয়ায় সরবরাহ করা প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথম পত্র লেখা থাকলেও ভিতরে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র ছিল।
পরীক্ষা স্থগিতের কারণ সম্পর্কে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘নড়াইলে ভুল করে প্রথম পত্রের দিন দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন বিতরণ করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব বলেন, ‘নড়াইলে ভুল করে প্রশ্ন দেয়া হয়। তারপরও বিকল্প আরো তিনটি সেট ছিল আমাদের কাছে। কিন্তু আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি। কারণ, বেশকিছু লোকজন প্রশ্নপত্র দেখেছে। এ কারণে এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।’
কিউএনবি/বিপুল/১৬.০৯.২০২২/ রাত ১০.৫৭