এস.কে হিমেল, নীলফামারী : যত যল্পনা-কল্পনা আর মামলা জটিলতার নিরশন ঘটিয়ে ১৫ জুন (বুধবার) ইভিএম এ অনুষ্ঠিত হবে নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে চায়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভোটের আড্ডা,জনসংযোগ আর পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। সকল আড্ডার আলোচনায় চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী
লড়াইয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে।তবে আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি সঙ্কাও করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ সাধারণ ভোটাররা। প্রার্থীদের মধ্যে হুমকী-ধামকীর কথাও শোনা যাচ্ছে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে। তাই আসন্ন নির্বাচনে সুস্থ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন গ্রহণের দাবী প্রার্থী সহ সাধারণ ভোটারদের। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন, সংরক্ষিত ২০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪০ জন প্রতিন্দিতা করছেন। ১৫ ই জুন ইউনিয়নের ১০ টি ভোটকেন্দ্রে ৭০ টি বুথে ১৯ হাজার ৫৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য আর নিরপেক্ষ করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা
হয়েছে।৭ নং ওয়ার্ডের রবিউল (৩০), প্রথমবার ইভিএমে ভোট হওয়ায় এলাকার মানুষ একটু চিন্তায় আছে। সোমবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া দেখানো হয়েছে। এতে করে অনেকটা ভীতি কমেছে। আমি নিজেও সেটিতে পরীক্ষামূলক ভোট দিয়ে বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা খুব সহজ।ওই এলাকার প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, ব্যালটে ভোট গণনায় অনেক রকম কারচুপির ঘটনা ঘটে। কিন্তু ইভিএম যন্ত্রে ভোটের হিসাবের কোন কারচুপির সুযোগ আমি দেখছি না। পরীক্ষামূলক ভোট দিয়ে আমার কাছে খুব সহজ মনে হয়েছে।আমিরুল ইসলাম (৬০) বলেন, এলাকার ভোটারতো বহুমুখী।
কারো কথা কাহো বুঝিবার পারেছে না। প্রার্থীর দোষগুণতো থাকিবে, এর মধ্যে একজনকে বাছাই করি ভোট দিবার নাগিবে।প্রচারণার ফাঁকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশান্ত রায় (নৌকা) বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো। ১৫ জুন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা করছি। ইভিএমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই। আমি ইভিএম সমর্থন করি।’ নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবতাব উজ্জামান বলেন, শেষ ধাপে ১৫ জুন খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট-গ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী এলাকায় ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনছার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রশান্ত রায় (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাইমুর রহমান (হাত পাখা), স্বতন্ত্র মো. মাসুদ রানা মাসুম (টেলিফোন), মো. তহিদুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (ঘোড়া), মো. মাসুদ রানা সাবদের (আনারস), মো. আশাফউদ্দৌলা সিদ্দিকী (চশমা), পঙ্কজ কুমার রায় (অটো রিকশা)। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৫ জুন ইউনিয়নটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ২০১৬ সালের মধ্য মেয়াদ শেষ হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৪.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:২৯