বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

আগাম বর্ষায় বোরো ক্ষেত পানির নিচে

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২
  • ১৩৬ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আগাম বর্ষায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের হাজার বিঘা জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বোরো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য কৃষি বিভাগের আগাম শতর্কবার্তা থাকলেও কৃষানের অভাবে শেষ রক্ষা হয়নি কৃষকের। যেটুকু ক্ষতি অবশিষ্ট ছিল তা পূর্ণ হয়েছে লাগাতার বৃষ্টিতে। কৃষি নির্ভর কৃষকেরা পথে বসার উপক্রম। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ ৫ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে।

৯০ ভাগ লক্ষমাত্রা অর্জন না হতেই ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পরে কৃষিতে। আগাম বর্ষার পানি বোরো ক্ষেতে প্রবেশ করায় ক্ষতির সম্মুখিন হয় সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চরের কান্দি ও শৌলপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি বোরো ব্লক। সঠিক সময়ে কৃষাণ না পাওয়ায় বর্ষার পানিতে ধান তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধান থেকে চারা গজিয়ে আবার বীজতলায় রূপান্তরিত হয়েছে বোরো ক্ষেত। হাজার টাকার শ্রমিক পানির নিচ থেকে ২ মনের বেশী ধান উঠাতে পারছে না। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো পথে বসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদন খরচতো দূরে থাক, পানির নিচ থেকে ধান কাটার খরচও উঠছে না কৃষকদের।

বিনোদপুর চরের কান্দি ব্লক ম্যানেজার হারুন মাদবর জানায়, তার ব্লকে প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আগাম শতর্কবার্তা দিলেও কৃষানের অভাবে ধান কাটা সম্ভব হয়নি। আগাম বর্ষার পানি ব্লকে ঢুকে পড়ায় নিচু জমির ধাত তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধান থেকে চারা গজিয়ে বড় হয়ে গেছে। যে সকল ধান পানির উপরে দেখা যায় তা ৮০০ টাকা দিন হাজিরা ও ৪ বেলা খাবারের বিনিময়ে শ্রমিক দিয়ে কাটাচ্ছি। শ্রমিক প্রতি হাজার টাকার বেশী খরচ হয়। একজন শ্রমিক ২ মনের বেশী ধান উঠাতে পারে না। জমি থেকে উঠিয়ে আনা ধান ও ঘরে রাখা ভেজা ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। এক কথায় সব দিক থেকে আমাদের ক্ষতি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় দেবনাথ বলেন, আমরা কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এইবারও আগাম বন্যার শতর্কবার্তা দিয়েছিলাম। কৃষাণের অভাবে কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েগেছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মমর্তা অলি হালদার বলেন, আমাদের বোরো ফলন খুবই ভাল হয়েছিল। লক্ষমাত্রাও অর্জণ করতে সক্ষম হয়েছি। আগাম বর্ষার সম্ভাবনা থাকায় ৮০ শতাংশ পাকা ধান কৃষকদের ঘরে তুলতে আহবান জানানো হয়। কৃষাণের সংকটে উপজেলার বিনোদপুর ও শৌলপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি ব্লকের কিছু ধান তলিয়ে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit