সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকায় মহামন্দার আশংকা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ১০১ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অস্বাভাবিক মন্দা তৈরি হয়েছে। এ হার ১.৪%। করোনা সত্বেও টানা এক বছর প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এ বছরের শুরুতে উল্টো গতি পেয়েছে। ব্যুরো অব ইকোনমিক এনালিস্ট’রা বৃহস্পতিবার উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে নিকট ভবিষ্যতে মহামন্দার আশংকা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। 

উল্লেখ্য, প্রবৃদ্ধির এই উল্টোগতি ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা মহামারির পর এটাই প্রথম। লকডাউনকালে প্রণোদনা-কর্মসূচি (স্টিমুলাস) চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়। গত বছর প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছিল ৫.৭%। ১৯৮৪ সালের পর গত বছরটি ছিল পুরো বছর প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্যতম একটি উদাহরণ। যদিও অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ এখনও বিশ্বাস করেন যে, প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখনও বড় ধরনের ধাক্কা লাগেনি, তবে চাকরির বাজারে গতি সঞ্চারিত হওয়ায় মন্দার ভীতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি স্বাভাবিক হবার তেমন লক্ষ্য দেখা যাচ্ছে না। চীন এবং ইউরোপসহ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশসমূহে কিছু স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির অনুমান হ্রাস করেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক এবং আইএমএফ’র প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কেনেথ রোগফ গণমাধ্যমকে বলেছেন, অবশ্যই দিগন্তে মেঘ জমেছে। মেঘের ঘনঘটা আন্দাজ করছি। এক্ষুণি সঠিক অনুমান করা সম্ভব না হলেও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চীন নিয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে যে, সহসাই মন্দা পরিস্থিতি গ্রাস করতে পারে। তা ঝড়ের মত শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হতে পারে। পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করেছে সাংহাই-তে লকডাউন দেয়ায়। সর্বত্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতেই অর্থনীতিকে টেনে ধরার কারণগুলোর অন্যতম ছিল খুচরা বিক্রেতাদের ইনভেন্টরী ক্রয়ে হ্রাস পাওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানী ও আমদানীর মধ্যে ব্যবধান বৃদ্ধি পাওয়া। পণ্যের জন্য দেশের বাণিজ্য ঘাটতি, পণ্য-সামগ্রির আমদানী এবং রপ্তানির মধ্যে পার্থক্য মার্চে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে-এ কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও অনেক ব্যবসা চলতি বছরের শুরুতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম পণ্য পেয়েছিল। কারণ, গত বছরের শেষেও স্টোরে কিছু পণ্য অবিক্রিত ছিল। আর সেটি করা হয় সরবরাহে সংকট এবং চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চিত অবস্থায় থাকার জন্য। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ক্রয় হ্রাসের ফলে জিডিপি কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর একটি সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেটি সময়েই বলে দেবে। তবে স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী মন্দা পরিস্থিতিকেই যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানাচ্ছে বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করছেন। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯শে এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit