ডেস্ক নিউজ : বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে রাজনীতি করা একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক মঞ্চে এসে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
দলের প্রতীক ধানের শীষকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এই ঐক্যের মঞ্চ থেকে নেতারা স্থানীয় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং ‘গডফাদারতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান। তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই সমন্বয়কে দলের বৃহত্তর লক্ষ্যের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন।
মোস্তফা জামান বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসন জনগণের আসন। এখানে কেউ দাপট দেখাতে বা ভয় দেখাতে পারবে না। আমরা সবাই মিলেই জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে মাঠে আছি। দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই ঐক্য প্রমাণ করে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে নয়–দেশকে বাঁচাতে আন্দোলন করছে।’
সমাবেশে উপস্থিত দলীয় নেতারা অভিন্ন কণ্ঠে সন্ত্রাস ও স্থানীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন:
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন ঐক্যের বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আজকের গণমিছিল দেখিয়ে দিলো, বিএনপি বিভক্ত নয়। আমরা যে-ই প্রার্থিতা পাই-না কেন, জনগণের স্বার্থে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন সন্ত্রাস ও গডফাদারদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘এ আসনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর গডফাদারদের জায়গা নেই। যারা জনগণের পেটে লাথি দিয়ে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছিল, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ তাদের জবাব দেবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফাস উদ্দিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আজকের গণমিছিল আমাদের মনোভাব পরিষ্কার করে দিয়েছে। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই মাঠে নেমেছে। আমরা যে কেউ মনোনয়ন পাই বা না-পাই, ধানের শীষই আমাদের চূড়ান্ত পরিচয়।’
অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি কিছু অভিযোগ ও বিতর্ক ঘিরে দলের অভ্যন্তরে যে অসন্তোষ ছিল, তার প্রতিফলন আজকের কর্মসূচিতেও দেখা যায়। সূত্রমতে, কয়েকজন নেতাকে আমন্ত্রণ তালিকায় না রাখার বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত এবং চলমান অভিযোগগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা রাখতেই এই ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচিকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য একটি শক্তিশালী অবস্থানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তারা আশা করছেন, এই সমন্বয় ধরে রাখতে পারলে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ বড় ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/১১ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:৫৫