শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন

বাঘাইছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপনে রহস্যাবৃত বিলম্ব! রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের হুশিয়ারি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬২ Time View

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি : রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের দাবিতে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় শহরের আয়োজন রেস্টুরেন্টে এলাকাবাসীর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাঙামাটির সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়ি; যার আয়তন ১৯৩১.২৮ বর্গকিলোমিটার।

দুইটি থানা আর একটি পৌরসভাসহ সর্বমোট ৮টি ইউনিয়ন ও ১৭টি মৌজায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের বসবাসকৃত এই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছি এবং বাস্তবায়নের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা দুইজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি আমাদের দাবিকে খুবই যৌক্তিক দাবি মনে করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি আমাদের কাছে পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।

অগ্নিকান্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বা অন্য কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করার জন্য ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অপরিহার্য উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করে অগ্নিকান্ড বা অন্যান্য দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করণে এবং মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিতে জরুরী ভিত্তিতে বাঘাইছড়ি উপজেলায় স্টেশন স্থাপন প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণে, মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং দুর্যোগের সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।সংক্ষেপে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন না থাকার কারণে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্থাপনের জোড় দাবি জানান বক্তারা।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে বাঘাইছড়ি উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে দক্ষ জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সরবরাহ করতে হবে। স্থানীয় জনগণের জন্য নিয়মিত ফায়ার সেফটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে।এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, ছাত্রনেতা আল আমিন, ছাত্রনেতা আলমগীর হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

কিউএনবি/অনিমা/১৭ আগস্ট ২০২৫/সন্ধ্যা ৭:২৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit