 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    মনিরুল ইসলাম মনি ,শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শায় চাহিদার তুলনায় প্রায় দুই হাজার কোনবানির পশু মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত এ পশু খামারীরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছে। ইতমধ্যে অনেক পশু সুলভ মুল্যে খামার থেকেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও অনেক পশু বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছে।এ বছর গো খাদ্যের মুল্য বেশি হলেও খামারীরা লাভবান। সূত্রে শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তপু কুমার সাহা জানান, এ বছর শার্শা উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের ১৮০টি গ্রামে কোরবানির চাহিদা ১২ হাজার ৭শত ২৬টি পশু। এর মধ্যে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে ১৪ হাজার ২শত ২৬টি পশু। প্রায় দেড় হাজার পশু অতিরিক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তপু কুমার সাহা আরও জানান , শার্শা উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ১১৩১টি পশু খামার রয়েছে।
এর মধ্যে রেজিষ্ট্রিশনকৃত বড় খামার রয়েছে১৫টি। অন্য গুলো কৃষক পর্যায়ের খামার। তিনি বলেন আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শার্শার সাতমাইল পশু হাটে প্রচুর পরিমানে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রকার পশু বেচা কেনা হচ্ছে। সে জন্য শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে সাতমাইল পশু হাটে বিক্রিত পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গরুর গর্ভ পরিক্ষা, অসুস্থ্য পশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পশু হাটে কৃত্রিম ভাবে নিষিদ্ধ মোটা তাজা করা পশু বাজার জাত না করার জন্যও মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলার বড়আঁচড়া এ্যাগেস্খা ডেনরী ফার্মের মালিক আবু তাহের (ভারত) জানান, তার ফার্মে প্রায় ২শতাধিক গরু রয়েচে। তার মধ্যে প্রায় শতাধিক গরু এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েচে। তিনি বলেন তার ফার্মে এ বছর কোরবানির জন্য দুই জাতের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে লাল শাহীয়াল (পাকিস্তানি) গরু। যা প্রতিটি ওৎন প্রায় ৮শ থেকে ৯শত কেজি ওৎন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ফ্রীজিয়ান ষাঁড়। যার ওৎন ৫ তেকে ৯শ কেজি। তিনি জানান প্রায় ার্ধশত কোরবানির পমু তার ফার্ম থেকে বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও প্রায় অর্ধশত কোরবানির গরু বিক্রি হবে। তিনি বলেন সাধারন ভাবে গরু পালন করা হয়েচে। তার খামাবে কোন প্রকার মোটাতাজার জন্য কোন কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়না।
তিনি বলেন এ বছর খাবারের মুল্য বেশি হওয়ায় গরুর বিক্রিত বাজার ভালো না। তিনি বলেন গরুর খামার এশটি লাভ জনক ব্যবসা। এ বছর তার খামার থেকে লাল শাহীয়াল গরু ৫শ ৫০ টাকা কেজি দরে ও ফ্রীজিয়ান গরু ৪শ ৮০ টাকায় কেজি দরে সুলভ্য মল্যে গরু বিক্রি করা হচ্ছে। আবু তাহের ভারত আরও জানান, তার খামারে প্রায় ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে। এ ছাড়া তার খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬ শত কেজি দূধ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে আরএক খামারী লাউতাড়া গ্রামের আশিকুর রহমান জানান তার খামারে প্রায় অর্ধশত গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তপু কুমার সাহার সার্ভিক সহযোগিতায় তাদের খামারের সকল পশু সুস্থ্য ভাবে পালন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তপু কুমার সাহা বলেন, প্রতিটি কৃষক প্রতি বছর ১/২টি করে গরু পালন করলে ভারত থেকে কোন গরুর প্রয়োজন হয়না। তিনি দেশীয় ভাবে গরু পালনে দেশের মাঙসের চাহিদা পূরনের পরও বিদেশে মাংস রপ্তানী সম্ভব বলে জানান। তিনি বলেন ফ্রীজিয়ান গরু পালন করলে অধিক দুধ ও অল্প সময়ে বেশি মাংস পাওয়া সম্ভব।তিনি বলেন শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসসব সময় গস্খাম পর্যায় ফ্রিতে পশুর কৃমিসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসি প্রদান করে থাকে। তিনি বলেন এ বছর শার্শা উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় দেড় হাজার সুস্থ গরু, মহিষ, ছাগল ও বেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ।
কিউএনবি/অনিমা/২৮ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:৩৬