আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর কেটে গেছে ২৪ দিন। সবাই ভেবেছিল এবার হয়তো দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার হবে। কিন্তু দিনে দিনে দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া জনগণের পছন্দ তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে। জনপ্রিয় নেতা ইমরান খানের দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নিয়ে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। সঠিক ফলাফল প্রকাশ না করে নির্বাচনে হয়েছে ‘মহাকারচুপি’।
এমন সব অভিযোগের মাঝেই সরকার গুছিয়ে নিয়েছে মিলিটারি-পুতুল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জোট সরকার গঠন করেছে। রোববার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শাহবাজরা মসনদে বসলেও মন পাবেন না জনগণের।
পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ দলসহ অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলোও রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভোট কারচুপির কারণে এমন সরকার স্থানীয় পর্যায়ে অস্বীকার করা হচ্ছে। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সরকার গঠিত হলেও এর প্রভাব শুধু দেশের রাজনীতিতে নয় বরং দেশে অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই বছরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানকে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার বৈশ্বিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে পাকিস্তানকে আর্থিক শূন্যতা পূরণের জন্য চলতি অর্থবছরে ২২ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাহ্যিক অর্থায়ন পরিচালনা করতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল সরকার থাকবে।
এক্ষেত্রে পিটিআই’র নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় পিপিপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনে ক্যান্টনমেন্ট কারিশমাও এখন আর গোপন কিছু নয়। কেননা, এটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল পাকিস্তানের লক্ষ্য অর্জন করবে। কিন্তু পিটিআই এই মুহূর্তে তা মানতে রাজি নয়। এখনো পিটিআই’র একটাই দাবি, নির্বাচনের প্রকৃত ফল ঘোষণা করা হোক। পাশাপাশি পিডিএম সরকারকে ১৬ মাসে তাদের ভুল স্বীকার করতে হবে।
এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য অনেক গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা রয়েছে। এতে করে মার্শাল ল জারির মতে পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে পাকিস্তানে। লেখক পরিচিতি: খালিদ জামিল, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক। আউসাফ ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্কের (এবিএন) ইসলামাবাদ ব্যুরোপ্রধান
কিউএনবি/আয়শা/০৩ মার্চ ২০২৪,/রাত ১১:২১