ডেস্কনিউজঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘দেশের মানুষ এখন এই উপলব্ধিতে রয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে “ইলেকশন ইলেকশন খেলা”র ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। কাজেই খামোখা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের “টাইম আর এনার্জি” নষ্ট করে কী লাভ? এমতাবস্থায় সরকার নির্বাচনের যে তামাশা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে, তার আড়ালে তাদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ভণ্ডামি এখন দেশে-বিদেশে সবার কাছেই উন্মোচিত হয়ে গেছে। জনগণের এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আদর্শকে আবার আমরা সমুচ্চ করে বিশ্বে এ দেশের আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সাজানো নির্বাচনের ইশতেহার নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েকদিন ধরে যে হারে মনোনয়নের আবেদনপত্র বিক্রি হচ্ছে তাতে আগামী প্রহসনের নির্বাচনের প্রার্থী সংখ্যা সত্যিকার ভোটার সংখ্যার চেয়েও বেশি হয়ে গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না! কেন না, এ দেশের ভোটাররা এখন এই সরকারের নির্বাচনের মাহাত্ম্য জেনে ফেলেছে যে, এ দেশে নির্বাচনে কারও আর ভোট দেবার প্রয়োজন নেই। ভোট এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়ে যায়।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা নিয়ে ড. মঈন খান বলেন, ‘এই আন্দোলন হচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মানুষের প্রাণের আন্দোলন। অন্যদিকে রয়েছে সকল প্রকার রাইফেল, বুলেট, টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেড নিয়ে সরকারের মারমুখি প্রশাসন, যাকে আবার সহায়তা দিচ্ছে সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু তাই নয়, সারা দেশে গ্রামে-গঞ্জে পুলিশ বাহিনী গভীর রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এই সত্যের আলোকেই আজকের বিরোধী দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আজকের আন্দোলনের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ভাসিত হবে। কাজেই আমরা পূর্ণ ধৈর্য বজায় রেখে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, যে নৈতিক শক্তির কাছে এই একদলীয় সরকার যথাসময়ে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হবে। এটা ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য।’
কিউএনবি/বিপুল/২৩.১১.২০২৩/রাত ১০.৪৯