ডেস্ক নিউজ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৩৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বেপারী পট্টির মহিউদ্দিন তালুকদারের হোমিও ঔষধের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জ্ঞানের আলো পাঠাগার ও ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় বাবু মোল্লার সুতার দোকান, আব্দুল্লাহ ক্রোকারিজ, এসকেন্দার ফরাজীর মুদি দোকান, উজ্জল মধুর স্বর্ণের দোকান, হানিফ খানের মুদি দোকান, সুজান দাসের হার্ডওয়ারি, সোবহান খলিফার মুরগির দোকান, সোহাগ শেখের মুরগির দোকান, অনতোষ বৈদ্যের স্বর্ণের দোকান, উজ্জল পান্ডের হার্ডওয়ারি, শহীদ তালুকদারের চায়ের দোকানসহ ৩৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন নিভাতে গিয়ে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের কর্মী হাসান শেখ, আশুতোষ দাসসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কোটালীপাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। এ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ৩৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
ঘাঘর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে ৩৪ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন। আমি এই ব্যবসায়ীদের ব্যাংক লোন মওকুফসহ নতুন করে লোন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
কিউএনবি/অনিমা/২৩ এপ্রিল ২০২৩,/দুপুর ২:১২