রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

দুই বিঘা জুড়ে ১৫০ বছরের প্রাচীন বটগাছ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১২১৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : ইতিহাস ঐতিহ্যর প্রতীক দেড়শত বছরের প্রাচীন বটগাছ খুব একটা দেখা না পাওয়া গেলেও দিনাজপুরের বিরামপুরে কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে। ইতিহাস ঐতিহ্যর ১৫০ বছরের প্রাচীন বটগাছের ছায়াতলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূর্জা-অর্চনার পাশাপাশি প্রতিবছর মেলা বসে। বটগাছটি বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে। এর উত্তর অংশে রয়েছে একটি স্বারদীয় দূর্গামন্দির।

বট গাছের শাখা প্রশাখা যেমন চারিধারে বিস্তৃত করে পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি আবার দাবদাহ থেকে মুক্ত করে শীতল ছায়া দেয় হাজারো পথচারীকে। গাছটি দুই বিঘা জমি জুড়ে ডানা মেলেছে। বটগাছের লতাগুলোই মাটিতে ঠেকে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরদূরান্ত থেকে অনেক পথিক গাছটি দেখতে আসেন, বিশ্রাম নেন। গাছটি চারপাশে তার ডানা মেলে ধরেছে। অনেকে সেলফি তুলতেও আসেন অনেক প্রকৃতিপ্রেমীরা। 

আজও পরিবারের জীবিত বয়স্ক ব্যক্তিকে এই বটবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তেমনি দিনাজপুরের বিরামপুরের দুর্গাপুর গ্রামে এই বট গাছটি কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। সময়ের বিবর্তনে বটগাছের ঐতিহ্য অনেকটা হারিয়ে গেলেও গ্রামীণ জনপদে এখনো টিকে আছে শত শত বছরের বটগাছ এবং তাকে ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে গাছটি নমস্য বটে। বটগাছটির পাতা ঝরে পড়ে, নতুন পাতা আসে। এর পরেও ঐতিহ্য ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। 

বটগাছটি জেলার বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বারিন্দ্রনাথ সরকারের জমিতে এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো বটগাছ। লোকমুখে শোনা যায় এই গাছটির বয়স দেড়শ বছর পেরিয়েছে। 
ওই এলাকার সবচেয়ে প্রবীন দুর্গাপুর গ্রামের ৯৫বছর বয়সী মঙ্গল সরেন জানান, ছোট থেকে দেখছি গাছটিকে এবং গাছটি ধীরে ধীরে তার শাখা প্রশাখা চারিপাশে তার কলেবর বাড়িয়ে চলেছে। বিরামপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যর প্রতীক দেড়শত বছরের প্রাচীন গাছটি এলাকার একটি সম্পদ। গাছটিকে দেখার জন্য অনেক দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে। আমরা এখানে পূর্জা অর্চনা করি। বটগাছটি মনে করিয়ে দেয় অতীত স্মৃতি। এটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গাছটির উত্তরাধিকার বারিন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে প্রভাষক কালী প্রসন্ন সরকার জানান, আমার ঠাকুর দাদা এই গাছটি রোপণ করেছিলেন। পারিবারিকভাবে আমার বাবা বারীন্দ্রনাথ সরকার দেখাশুনা করতেন। আমাদের তিন প্রজন্মের কাছে গাছটির বয়স দেড় শত বছর পেরিয়েছে।  

বিরামপুর উপজেলার নিজস্ব সাংস্কৃতি ও প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিকখ্যাত কালের স্বাক্ষী বটগাছটি রক্ষনাবেক্ষসহ দৃষ্টিনন্দন করতে সরকারের প্রত্নত্বাত্ত্বিক অদিদপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলাবাসী।

কিউএনবি/অনিমা/১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:১৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit