শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

সপ্তাহে ২ কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয় সখীপুরের কুতুবপুর হাটে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২১৫ Time View

ডেস্কনিউজঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরের কুতুবপুর কলার পাইকারি বাজার হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই কোটি টাকার কলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।

কুতুবপুর বাজারের কলা ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট এখন সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার। এখানে উপজেলার কুতুবপুর, বড়চওনা, দাড়িপাকা, শ্রীপুর, তৈলধারা, মুচারিয়া পাথার, শালগ্রামপুর, ফুলবাড়িয়া উপজেলার গারোবাজার, ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী, জোড়দিঘীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি শনিবার বিকেল থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলা আমদানি হতে থাকে। কিন্তু এখন শনি, মঙ্গলবারসহ চার দিন বসে এ হাট। কলাচাষী ও ছোট ব্যবসায়ীরা এ হাটে কলা আমদানি করে থাকেন। এরপর তাদের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনেঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন।

কুতুবপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সারা দেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কলা দামদর করে কিনে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

এক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর কলার দাম অনেকটা বেশি। প্রতি কাঁদি কলা আকারভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এ হাটের অবস্থান মধুপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে হওয়ায় যোগাযোগে সুবিধা পাওয়া যায়। এ হাট দিন দিন ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

কুতুবপুর হাটের কলার আড়তদার ফজল মিয়া বলেন, প্রতি হাটে এখান থেকে ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। কলা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এখানে অসংখ্য আড়ত গড়ে উঠেছে।

কলাচাষি মো: নইম উদ্দিন মেম্বার দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, প্রতি কাঁদি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। কলার কাঁদি ওপর নির্ভর করে দাম কমবেশি হয়ে থাকে। শ্রমিক খরচ ও সারের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষক তেমন লাভ লাভবান হচ্ছে না।

সাগরদিঘী গ্রামে কলাচাষি সাবেক মেম্বার মো: ময়না মিয়া দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, এ অঞ্চলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় কলার হাট। অন্যান্য বাজারে তুলনায় এ বাজারে বেশি কলা বিক্রি হয়। এখানে দামও কিছুটা ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে কুতুবপুরে কলার আমদানিও বেশি।

হাটকেন্দ্রিক শ্রমিক আব্দুস সামাদ জানান, এই হাটকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০০ শ্রমিক কাজ করে। এতে জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে পাওয়া যায়। এই হাটের কারণেই যে পারিশ্রমিক পাই তা দিয়েই আমাদের পরিবার চলে।

কুতুবপুর হাট সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, এ বাজারে সপ্তাহে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার কলার বেচাকেনা করা হয়। তাছাড়া কুতুবপুর অন্যতম বিখ্যাত কলার বাজার বলে খ্যাতি রয়েছে।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, সখীপুরসহ এ অঞ্চলের মাটি কলা চাষে বেশ উপযোগী। ৩০ বছর আগে এ উপজেলায় প্রচুর কলার চাষ হতো। ১০ বছর আগে কলা চাষ কমে যায়। তবে আবার কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। এ বছর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। দেড় হাজার মানুষ কলা চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

কিউএনবি/ বিপুল/ ২৮.০১.২০২৩/সকাল ১১.১০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit