সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে: হাই কমিশনার

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ১৯৭১ সালে যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও তেমনি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। 

তিনি বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিল সেই ৭১ এ। সেই যাত্রা এখনো বহমান। আগামীতেও আরো গভীর হবে এই সম্পর্ক। সাউথ এশিয়াতেই নয়; পুরো বিশ্বই দু’দেশের সম্পর্ক দেখছে।

‘মিট দ্যা সোসাইটি’ শীরোনামে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

এতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব বিশিষ্ঠ চিকিৎসক ও কলামিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো মোকাবিলায় সম্মিলিত কাজ করছি আমরা। তরুণদের কাছে ৭১ এর চেতনা পৌঁছে গেছে। ইউথ ডেলিগেশন চলছে দু’দেশের মধ্যে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাহলে আরও এগুবে সম্পর্ক। 

প্রণয় ভার্মা বলেন, নরেন্দ্র মোদির কথা মত দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও একসাথে কাজ চালিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন শাসক, রাষ্ট্রনায়কের সামনে কি কৌশল কি চতুরতার সাথে সাত মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা সারা বিশ্ব দেখেছে। সে থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। কৃষক মজুর বুদ্ধিজীবি চিকিৎসকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ সেই যুদ্ধ করেছি। 

ডেপুটি স্পিকার বলেন, এক কোটি স্বরণার্থী ত্রিপুরা আশ্রয় দিয়েছিল। তিনি বলেন, পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু বহুমুখি পদক্ষেপ দিয়ে অনেক আগে থেকে মুক্তিযুদ্ধ গুছিয়ে এনেছিলেন। ৭ মার্চ কেবল আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। মিসেস গান্ধি করেছেন। অস্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষকে কিভাবে ভুলে যাই? ত্রিপুরার মানুষ নিজেদের জনসংখ্যার বেশি মানুষকে খাইয়েছে। থাকতে দিয়েছে। আসাম পশ্চিম বঙ্গ এইভাবে এগিয়ে এসেছে। বিহারে অবাঙ্গালিরাও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িছে। এমনকি বোম্বের ফিল্ম তারকা বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন।  

তিনি বলেন, নদীয়ায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের ম্যাচ ঘিরে ঐতিহাসিক জমায়েত হয়েছে। নদীর মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফুটবল ম্যাচের মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলি জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাব উদ্দিন বীর উত্তম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ড. পবিত্র সরকার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ভিসি প্রফেসর কামরল হাসান খান প্রমূখ।

কিউএনবি/অনিমা/০৮.১২.২০২২/সন্ধ্যা ৬:০৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit