শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের শার্শায় উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে চাঁদা দাবী ও তার ৫৬ শতক জমির উপর আমবাগান দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ১ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে সচিব নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা ও তার আম বাগানের ৫৬ শতক জমি দখলের পাইতারা করছে আবু হোসেন নামে এক ব্যাক্তি। আবু হোসেন শার্শার কায়বা কলোনী পাড়ার মৃত জয়নাল মালের ছেলে। শার্শায় উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাজমুল হাসানের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত মে মাসে পাড়ের কায়বা মাঠে তার ৫৬ শতক আম বাগান থেকে ২০/২৫ মন আম চুরি করে ধরা পড়ে আবু হোসেন নামে ব্যাক্তি।
বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় আম চুরির সংবাদ প্রকাশ হয় আবু হোসেনের নামে। এই রাগে ও ক্ষোভে চোর আবু হোসেন রাতের আধারে নাজমুল হাসানের আম বাগানে একটি কুড়ে ঘর স্থাপন করে। বিষযটি জানতে পেরে স্থানীয়রা ও নাজমুল হাসান জানতে চাইলে আম বাগান তার বলে দাবী করে। ঘটনাটি নাজমুল হাসান গ্রামের গন্যমান্য লোকজনকে জানালে তারা াবৈধ্য ভাবে স্থাপন করা কুড়ে ঘরটি তুলে দেয়। এ সময় সুচতুর আবু হোসেন শার্শা ও বাগআঁচড়া এলাকার কিছু টাউট ফেসবুক ও অন লাইনের সাংবাদিক নাম ধারী ব্যাক্তিদের দিয়ে ট্রিপল ৯ এ ফোন দেয়। এ সময় ফেসবুক ও অন লাইনের সাংবাদিক নাম ধারী ব্যাক্তিরা আম বাগান থেকে কুড়ে ঘর তুলে দেওয়ার অপরাধে সংবাদ না করার জন্য ইউনিয়ন সচিব নাজমুল হাসানের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় চাঁদা না দিলে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে বলে তার চাকুরী চলে যাবে। ।
অভিযোগে আরও জানা যায়, ট্রিপল ৯ এ ফোন পেয়ে যশোর থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে নাজমুল হাসানের আম বাগান থেকে পাড়ের কায়বা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহীন ( ৪০) ও আব্দুল গফপার এর ছেলে আরিফ হোসেন (৩০)কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময শার্শা থানা পুশিম উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে আম বাগানের কাগজপত্র দেখে মিমাংসা করে দেয়। এ সময় আবু হোসেন তার পক্ষে কোন দলিলাদী বা কাগজ পত্রের প্রমান দেখাতে পারেনি। যে কারনে পুলিশ আটক দুজনকে ছেড়ে দেয় আবুহোসেনকে নাজমুল হাসানের আব বাগানে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই থেকে আবু হোসেন ইউনিয়ন সচিব নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করছে। তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া আবু হোসেনকে ১ লক্স টাকা চাঁদা না দিয়ে তার আম বাগান দখলের হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন ইউনিয়ন সচিব নাজমুল হাসান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কায়বা ইউনিয়ন পরিসদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু বলেন ইউনিয়ন সচিব নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে আবু হোসেন। তিনি বলেন একটি আম বাগান নিয়ে আবু হোসেনের সাথে ইউনিয়ন সচিব নাজমুল হাসানের বিবাদ চলছে। আম বাগানটি এ পর্যন্ত ৬ বার হাত বদল হয়েছে। এখন আবু হোসেন যেটা করছে সেটা অন্যায় ও ষড়যন্ত্র মুলক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কায়বা ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইন-চার্জ মামুন খান বলেন অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৪৩