
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, দিনাজপুর প্রতিনিধি : কাল নদী এখন মরাখালে পরিনিত। অনেকে দখল করে ঘরবাড়ী, দ্বিতল ভবন নির্মণ সহ গড়ে তুলেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার কেউ কেউ দালালের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকায় নদীর জায়গা ক্রয় করে বাড়ী নির্মণ করে বসবাস করে আসছেন। দিনাজপুর জেলা পার্বতীপুর উপজেলার ১০নং হরিরামপুর ইউনিয়নের কাল নদী একসময় খর ¯্রতে কল কলে পানির প্রবাহ ছিল কালের আবর্তে সেই কাল নদী এখন দখলদারদের দখলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাল নদীর আশেপাশে গড়ে উঠেছে অনেক ঘরবাড়ী দ্বিতলভবন সহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকার চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের মৃত কাল্টু পাইকার এর পুত্র সাবুদ পাইকার বলেন, ছোট বেলা থেকে এই কাল নদী থেকে মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আসছিলম। গত কয়েক বছর থেকে নদীতে মাছ ধরতে পারিনা। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীর জলকর নিজের সম্পত্তি বলে দাবী করে নদীতে মাছ ধরতে দেয়না। দখলদার আমিনুল ইসলাম ঢেঁকি এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, কাল নদীর প্রায় সাড়ে ৪ একর জলকর আমি রেকর্ড সূত্রে ভোগদখল করে আসছি। আপনার কাছে কি রেকর্ড আছে জিজ্ঞাসা করলে ও কাগজ দেখতে চাইলে তিনি জানান আমার জমির কাগজ আপনাকে দেখাবো কেন। আপনার কি করার আছে আপনি করেন।
অপর দিকে আর এক দখলদার মধ্যপাড়া গ্রামের এজাহার আলীর পুত্র মোস্তাকিম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি মধ্যপাড়া রেঞ্জ অফিস হতে এক বছরের জন্য ২৫ হাজার টাকায় লিজ নেই এবং সেখানে মাছ চাষ করে খাই। মধ্যপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের পুত্র সাইদ (৫০) বলের এই জায়াগাটি নদীর ছিল আমরা স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা ভরাট করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। বন্দর পাড়া গ্রামের মৃত নুরু মন্ডলের পুত্র জাহিদুর (৩৫) জানান আমরা বন বিভাগের কাছ থেকে ডিট করে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। এ বিষয়ে মধ্য পড়া রেঞ্জ অফিস তথ্য সূত্রে জানা যায়, কাল নদীতে বন বিভাগের জায়গা রয়েছে। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর হতে পরবর্তী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয়দের এক বছরের জন্য লিজ দেই।
অপর দিকে কাল নদীতে বসবাসরত: ভূমিহীন ছালামের স্ত্রী ফুলবানুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত ৬ মাস আগে এই ৫ শতক জায়গা ক্রয় করে বসবাস করে আসছি। কার কাছে ক্রয় করলেন জিজ্ঞাস করলে তিনি বিক্রেতার নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ ইসমাইল এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন গ্রহণ না করায় উনার মতামত নেওয়া মতামত নেয়া সম্ভাব হয় নি।
কিউএনবি/আয়শা/৯ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৩৪