শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

দিনের শুরুতে রিজিক বণ্টন হয়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১১০ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : প্রতিটি মানুষের জন্য শেষ রাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়। মানুষের রিজিক বণ্টন হয়। তাই আল্লাহর প্রিয় বান্দারা এ সময় তাঁদের মহান রবের দরবারে দুইফোঁটা চোখের পানি ফেলতে পছন্দ করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জান্নাতবাসীদের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তারা শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৮)

এ থেকে বোঝা যায় যে শেষ রাতে জেগে থাকা, মহান আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত হতে পারা সফলতার সূত্র। পৃথিবীর ইতিহাসে যত সফল মানুষ এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাঁরা কেউ-ই শেষ রাতে ঘুমিয়ে থাকতেন না। শুধু ইবাদত-বন্দেগি নয়; বরং দুনিয়াবি কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন। ’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, সখর (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন, এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)

সকালের ঘুম অলসতার লক্ষণ, যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি সফলতা অর্জনেও দারুন প্রতিবন্ধক। ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বলেন, মামণি, ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)

খুব ভোরে ওঠা মানুষগুলো সবার থেকে আলাদা ও কর্মদক্ষ হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে কিংবা রাতে কম ঘুমায়, অন্যদের তুলনায় তাদের আইকিউ ভালো হয়। প্রিয় নবী (সা.)-ও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করে গেছেন, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাত্রিকালে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা ওই নারীর ওপরও রহম করুন, যে রাত্রিতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ পড়ে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫০)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit