স্পোর্টস ডেস্ক : এখানে আমরা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত শিক্ষণীয় ৩ ঘটনা তুলে ধরছি:
যুল-কিফল কোরআনে ন্যায়পরায়ণ ও ধৈর্যশীল বান্দা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কোরআনে তার পুরো জীবনী বর্ণনা করা হয়নি, তবে তার ধৈর্য এবং মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আর স্মরণ করুন, ইসমাঈল, আল ইয়াসা’আ ও যুল-কিফলের কথা, আর এরা প্ৰত্যেকেই ছিলেন সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা সদ: ৪৮)
রহস্যের কারণ হলো: যুল-কিফল একজন নবী ছিলেন কিনা নাকি কেবল একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি? তা স্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই তার পরিচয় ও ভূমিকা নিয়ে নানা জল্পনা রয়ে গেছে।
আদ জাতি ছিল এক শক্তিশালী সভ্যতা। যারা নবী হুদ (আ.)-এর সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের পাপের কারণে একটি ভয়ংকর ঝড়ের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।
আর স্মরণ করুন, আদ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা, যখন সে আহকাফে স্বীয় সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। যার আগে এবং পরেও সতর্ককারী এসেছিলেন (এ বলে) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদাত করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য মহাদিনের শাস্তির আশঙ্কা করছি। (সুরা আহকাফ: ২১-২২)
রহস্যের কারণ হলো: যদিও তাদের ধ্বংসের কথা উল্লেখ আছে– আদ জাতির সভ্যতার সঠিক অবস্থান ও তাদের ইতিহাস আজও অস্পষ্ট।
আসহাবে কাহাফ এমন কিছু যুবক ছিলেন– যারা ধর্মীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কয়েক শতাব্দী ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
আপনি বলুন, তারা কত কাল অবস্থান করেছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন, আসমান ও জমিনের অদৃশ্যের জ্ঞান তারই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্ৰোতা! তিনি ছাড়া তাদের অন্য কোনো অভিভাবক নেই। তিনি কাউকেও নিজ কর্তৃত্বে শরিক করেন না। (সুরা কাহাফ: ২৬)
রহস্যের কারণ হলো: যদিও গল্পটি বিখ্যাত, তাদের সঠিক পরিচয়, সময়কাল এবং অবস্থান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
কিউএনবি/খোরশেদ/০৬ নভেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:৪৪