সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জয়পুরহাটে বিসিআইসি সার ডিলারদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ॥ আশুলিয়ায় ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ র‍্যালীতে ওষুধ ২৫ ভাগ কমিশন বৃদ্ধির দাবী আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে সুসংবাদ দিতে পারব : ডিসি লালবাগ ‘জামায়াত না বিএনপি, কার মন রক্ষা করবেন’ গণহত্যার নীলনকশা : রায়ের অপেক্ষায় হাসিনা-কামালের মামলা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে একীভূত হতে চাইলে ইসরাইলকে ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নত করতে হবে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘আঁখি’ রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন: মির্জা ফখরুল আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে মরক্কোর ইতিহাস

জিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব?

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : আমার নাম হুসাইনুল কারিম। আমি ঢাকার মুগদা এলাকায় বসবাস করি। আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তির দাবি, তাঁর বশে জিন রয়েছে। তিনি নিয়মিত জিনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন অজানা ও গোপন বিষয় জানতে পারেন।

আমার জানার বিষয় হলো, জিন বশ করা, তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব কি? শরিয়তের দৃষ্টিতে জিনের মাধ্যমে তদবির করা জায়েজ?
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, জিনের সঙ্গে মানুষের সাক্ষাৎ সম্ভব। কোরআনের একাধিক আয়াত ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। যেমন—রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে জিনদের সাক্ষাতের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, ‘স্মরণ করো! যখন আমি তোমার প্রতি জিনদের একটি দলকে আকৃষ্ট করেছিলাম, যারা কোরআন পাঠ শুনেছিল। যখন তারা তার নিকট পৌঁছাল, তখন তারা বলল, চুপ করে শোনো।

কোরআন পাঠ শেষে তারা নিজ সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল।’ (সুরা : আহকাফ, আয়াত : ২৯)

আল্লামা ইবনে ইসহাকের সূত্রে আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই ঘটনাকে হিজরতের পূর্বে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তায়েফ থেকে ফেরার পথে এক উপত্যকায় নামাজ আদায় করছিলেন। তখন জিনদের একটি দল তার কোরআন তিলাওয়াত শুনে থেমে যায় এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি ঈমানের ঘোষণা দেয়।

আল্লামা ইবনে ইসহাক ও ইবনে সাদের মতে, সেই দলে দুই গোত্রের ৭০ থেকে ৯০ জন জিন উপস্থিত ছিল। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

দ্বিতীয়ত, মানুষের দ্বারা জিন বশ করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা জিনদের ওপর সুলাইমান (আ.)-এর কর্তৃত্ব দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাঁর প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে জিনদের কতক তাঁর সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ অমান্য করে তাকে আমি জ্বলন্ত অগ্নি-শাস্তি আস্বাদন করাব।’ (সুরা : সাবা, আয়াত  : ১২)

তবে কোরআনে কিছু আয়াত ও শব্দ ব্যবহার করে অথবা তান্ত্রিক সাধনার মাধ্যমে জিন বশ করা শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ। কেননা এটা সুলাইমান (আ.)-এর বৈশিষ্ট্য। তাঁর নিম্নোক্ত দোয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি জিনকে বন্দি করা থেকে বিরত ছিলেন। সুলাইমান (আ.) দোয়া করেছিলেন, ‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কোরো এবং আমাকে দান কোরো এমন এক রাজ্য, যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। তুমি পরমদাতা। তখন আমি তার অধীন করে দিলাম বায়ুকে, যা তার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করত সেখানে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হতো; এবং শয়তানদেরকে, যারা সবাই ছিল প্রাসাদ-নির্মাণকারী ও ডুবুরি এবং শৃঙ্খলে আবদ্ধ আরো অনেককে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ৩৫-৩৮)

জিনের সঙ্গে স্বাভাবিক দেখা-সাক্ষাৎ ও কথোপকথন নিষিদ্ধ নয়। কারো সঙ্গে জিনদের কথা হলে তাদের দ্বিনের দাওয়াত দেওয়া উত্তম।

তৃতীয়ত, জিনরা গোপন বিষয় জানে—এমনটি বিশ্বাস করা ঠিক নয়। বিশেষত তা যদি গায়েব জানার অর্থে হয়ে থাকে। অদৃশ্যের খবর কেবল মহান আল্লাহই জানেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাঁর হাতেই রয়েছে অদৃশ্যের চাকািঠি। তিনি ছাড়া কেউ তা জানেন না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)

কিউএনবি/অনিমা/১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৯:২২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit