শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঢাবি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে সংস্কারকৃত মসজিদ ও ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ উদ্বোধন ধনশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন চাহাল নরসিংদীতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার বাফুফের অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ক্যাম্পে প্রবাসী ফুটবলার একজন মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের সতর্ক করলো হাইকমিশন মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন ভারতের চেয়ে কম শুল্ক আরোপ, রপ্তানিতে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ ৫ আগস্টের মধ্যে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে: জোনায়েদ সাকি ইনস্টাতে সালমানের রহস্যময় পোস্ট ঘিরে নতুন জল্পনা দাপুটে জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে যুবারা

মতিয়া চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫০ Time View

ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর চিরপ্রস্থান হয়েছে। 

তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। তিনদিন আগে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিলো। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এরপর বেলা ১ টার দিকে তিনি মারা যান বলে তার একজন সহকারী জানিয়েছেন। বাম ধারার রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ত্রিশে জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সর্বশেষ সংসদের উপনেতা ছিলেন।

ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান মতিয়ার। ঢাকার ইডেন কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।  ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তিনি ছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিঝরা বক্তৃতার জন্য তাকে বলা হত ‘অগ্নিকন্যা’।

১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠনে তিনি একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকার জন্য তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছিলেন।

১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন।  ১৯৭১ সালে ওই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে মতিয়া যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এক সময় তাকে দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়।

পাকিস্তান বিরোধী সংগ্রামকালে ও পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক শাসনামলে অনেকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি তিন বার কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন তিনি।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালে জাহেদ আলী চৌধুরীকে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৪-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী; যদিও এসব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে সারাজীবনই সাধারণ বেশভূষা আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৬ অক্টোবর ২০২৪,/বিকাল ৫:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit