সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

শিক্ষক খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান মামুন: পুলিশ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০৭ Time View

ডেস্কনিউজঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে শিক্ষক খায়রুন নাহারের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী মামুন (২২) তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার। সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী মামুন তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার দিবাগত রাত ২টায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান মামুন। খায়রুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন ধরেননি। এতে ক্ষোভে খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান মামুন।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোড় ৬টা পর্যন্ত নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

এদিকে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে আটক মামুনকে এদিন দুপুর ১টার দিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর নজমূল হক সন্ধ্যায় ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষিকার ‘রহস্যজনক মৃত্যু’: স্বামী মামুনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছেশিক্ষিকার ‘রহস্যজনক মৃত্যু’: স্বামী মামুনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ১৪ আগস্ট ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধারের পর একই বাড়ি থেকে মামুন হোসেনকে আটক করে পুলিশ। মৃত্যুর বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়ায় মোল্লা ম্যানশনের ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে নাটোর সদর থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘শিক্ষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ভিসেরা প্রতিবেদনের জন্য আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেতে সময় লাগতে পারে। তবে থানার সুরতহাল প্রতিবেদন অনুয়ায়ী এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। ভিসেরা প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর বিষয়ে নাটোর সদরের বলারিপাড়ার নান্নু মোল্লা ম্যানশনের মালিক এবং প্রহরী নিজাম উদ্দিনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রযুক্তিগতভাবে তদন্ত করছে।’

নিহত শিক্ষক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার খয়বর আলীর মেয়ে। তিনি খুবজিপুর এমহক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্বামী মামুন হোসেন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পলশুড়া-পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি নাটোর এনএস কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দীর্ঘদিন প্রেমের পর তারা বিয়ে করেন। পরে ওই শিক্ষক তার স্বামী মামুনের সঙ্গে নাটোর শহরের বলারিপাড়ায় মোল্লা ম্যানশনের ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।

কিউএনবি/বিপুল/১৫.০৮.২০২২/রাত ১১.৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit