সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন

বাবা লোকনাথের বাণী দেখাবে সঠিক পথ, আজও জীবনের পাথেয় তাঁর উপদেশ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২
  • ১৩৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর ভক্তদের কাছে বাবা লোকনাথ নামেও পরিচিত। তাঁকে স্বয়ং মহাদেবের অংশ বলে মনে করেন তাঁর ভক্তরা।

জেনে নেওয়া যাক বাবা লেকনাথের কয়েকটি অমর বাণী।

লোকনাথ বাবা ‘যাহারা আমার নিকট আসিয়া আমার আশ্রয় গ্রহণ করে, তাহাদের দুঃখে আমার হৃদয় আদ্র হয়।’ ‘এই আদ্রতাই আমার দয়া, ইহাই আমার শক্তি যা তাহাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।’

এই সময় জীবন যাপন : ১৭৩০-এর ৩১ অগাস্ট, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিনে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। বাল্য বয়সেই ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করেছিলেন তিনি ও তাঁর বাল্য বন্ধু বেণীমাধব। তাঁদের গুরু ছিলেন ভগবান চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তী কালে নিজের গুরুর হাত ধরে বন্ধু বেনীমাধবকে সঙ্গে নিয়ে ব্রহ্মচর্য পালনের জন্য বনে গমন করেছিলেন লোকনাথ। নিজের গুরুর আশীর্বাদে হিমালয়ের পর্বতের গুহায় একশো বছর তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেন এবং ঈশ্বরের দেখা পান। দেব দর্শনের পর তিনি মানব কল্যাণ ও উদ্ধারের জন্য লোকালয়ে ফিরে আসেন। এ সময় নানা উপদেশ দিয়ে ব্যক্তিকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন বাবা লোকনাথ। তাঁর কিছু অমূল্য বাণীগুলি এখানে দেখে নেওয়া যাক।

১. যাহারা আমার নিকট আসিয়া আমার আশ্রয় গ্রহণ করে, তাহাদের দুঃখে আমার হৃদয় আদ্র হয়। এই আদ্রতাই আমার দয়া, ইহাই আমার শক্তি যা তাহাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।

২. সত্যের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই। সত্যই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপানস্বরূপ, সন্দেহ নেই।

৩. অন্ধকার ঘরে থাকিলে, তোকে যদি কেহ জিগ্যেস করে তুই কে? তুই বলিস ‘আমি’। আমাকে যদি কেহ জিগ্যেস করে আমিও বলি ‘আমি’। নামে নামে এত মিত্রতা হয় আর আমিতে আমিতে কী কোনও মিত্রতা হইতে পারে না?

৪. গর্ব করবি, কিন্তু আহাম্মক হবি না। ক্রোধ করবি, কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।

৫. যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ, আর যিনি কায়মনো বাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনিই যথার্থ জ্ঞানী।

৬. অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা আর তা ব্যয় করার সময় দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনও লাভ নেই।

৭. ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে ভগবান তার মঙ্গল করেন।

৮. যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যাচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে, আর কখনও আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করে না, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্ব করবি।

৯. দীন, দরিদ্র, অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করব। দারিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করবি।

১০. ওরে, সে জগতের কথা মুখে বলা যায় না, বলতে গেলেই কম পড়ে যায়। বোবা যেমন মিষ্টির স্বাদ বলতে পারে না, সে রকম আর কি!

১১. আমিও তোদের মতোই খাই-দাই, মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকে তোদের মতোই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি। আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো, সবাই তো তার ছোট ছোট চাওয়া নিয়েই ভুলে রয়েছে আমার প্রকৃত আমি কে।

১২. অন্ধ সমাজ চোখ থাকতেও অন্ধের মতো চলছে।

১৩. রণে, বনে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো।

১৪. এই বিরাট সৃষ্টির মধ্যে এমন কিছু নেই যাকে উপেক্ষা করা চলে বা ছোট ভাবা যায়। প্রতিটি সৃষ্টি বস্তু বা প্রাণী নিজ নিজ স্থলে স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে জানবি।

১৫. যা মনে আসে তাই করবি, কিন্তু বিচার করবি।

১৬. সচেতন হতে হবে। অচেতনাই জীবনের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরন্তর অভ্যাস এবং চেষ্টার ফলে তাকে সচেতনতায় রূপান্তরিত করতে হবে।

১৭. কাম, ক্রোধ সব রিপুই অবচেতন মনের স্তরে স্তরে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা প্রকাশ হয়, কারণ মানুষ তাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন হয়। অচেতন মন রিপুদের অবাধ ক্রীড়াক্ষেত্র।

১৮. মন যা বলে শোন, কিন্তু আত্মবিচার ছেড়ো না। কারণ মনে মতো প্রতারক আর কেউ নেই। মহাপুরুষদের বাক্য, শাস্ত্র বাক্যে শ্রদ্ধাবান না-হলে প্রকৃত আত্মবিচার সম্ভব নয়।

১৯. বিদ্যা, তপস্যা, ইন্দ্রিয় সংযম ও লোক পরিত্যাগ ছাড়া কেউই শান্তি লাভ করতে পারে না।

২০. অহং চলে গেলে নিজের মনই নিজের গুরু হয়, সৎ ও অসৎ বিচার আসে। জ্ঞানের সঙ্গে ভক্তির মণিকাঞ্চন যোগ হলে শ্রদ্ধা হবে তোদের আশ্রয়, শ্রদ্ধা হবে তোদের বান্ধব এবং শ্রদ্ধাই হবে তোদের পাথেয়।

কিউএনবি/অনিমা/২৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১০:৫২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit