ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অশনি উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় আঘাত হানতে পারে। এ জন্য আমরা সবাই এখন অ্যালার্ট (প্রস্তুত)। ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পূর্বপ্রস্তুতি বিষয়ে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ সচিব কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এদিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল জানতে পেরেছি ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভেলপ করেছে। যেটা ৯ মের মধ্যে হয়তো লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে, যেটাকে আমরা লঘুচাপ বা লো প্রেসার বলি। এরপর ধীরে ধীরে এটা সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লো প্রেসারের রূপ ধারণ করবে। ১১ মের দিকে এটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে ‘অশনি’। এটার ল্যান্ডফলটা এখন পর্যন্ত ক্যালকুলেশন হয়নি। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পর বিস্তারিত জানাতে পারব।’
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিপিপি ভলান্টিয়ারদের অবহিত করা, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা, যদি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে শেল্টার সেন্টারগুলো প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের প্রায় ৭ হাজার শেল্টার হাউস আছে। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য ভবন কাজে লাগাব। আম্ফানের সময় ১৪ হাজারের বেশি শেল্টার প্রস্তুত করেছিলাম। সেখানে প্রায় ২৪ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছিলাম। আমাদের সেই ক্যাপাসিটিও প্রস্তুত। আশা করি এটি মোকাবিলা করতে পারব।’
কিউএনবি/আয়শা/৬ই মে, ২০২২/১৮ বৈশাখ, ১৪২৯/সকাল ১১:০২