শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম

এটিএম আজহার ন্যায়বিচারের অধিকার পেয়েছেন: আখতার

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ২৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, এটিএম আজহার সাহেবের মুক্তির মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তির ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার যে অধিকার, সেই অধিকার তিনি পেয়েছেন। একজন ব্যক্তি অথবা একজন মানুষকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিচারের প্রহসনের মধ্য দিয়ে যেন জীবন দিতে না হয়, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। আবার জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক দায় রয়েছে- সেটা যেন জনগণের মাঝে স্পষ্ট করে। মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার ইতিহাস ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি। জামায়াতের নেতা আজহারকে আপিল বিভাগ খালাস দিয়ে যে মতামত দিয়েছেন সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিচারকে মিসক্যারেজ করা হয়েছে। আজহার সাহেবকে যে আপিল ডিভিশন মুক্তি দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে— একজন মানুষ এবং ব্যক্তি তাকে জুডিশিয়ালি লায়াবল করতে হলে যে ধরনের স্ট্যান্ডার্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেটা হয়নি।

আখতার হোসেন বলেন, হাসিনার আমলের তৈরি করা আদালত বিরুদ্ধ মতের ব্যক্তিদের সন্দেহাতীতভাবে তাদের অপরাধকে উত্থাপন করতে গিয়ে, তার ধারেকাছে না গিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের দিকে ধাবিত করেছেন। এরকম যেন বাংলাদেশে আর না হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যক্রম চলছে, তা হাসিনার আমলের মতো করে নয় বরং সত্যিকারার্থে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে বলে দাবি জানান আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাড় করানোর অর্থ নেই। অর্থবহ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা হলে স্বৈরাচার ফেরানোর পথ প্রশস্ত হবে। বিদ্যমান সংবিধানে একজন প্রধানমন্ত্রীকে যে পরিমাণ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতেই একজন প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারে। তাই ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংস্কারের বিকল্প নেই।

আখতার বলেন, শুধুমাত্র সদিচ্ছা দিয়ে বিদ্যমান আইনি ও সাংবিধানিক কাঠামোয় দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষিত না। যারা সরকার গঠন করে তাদের মর্জি মতো যদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হয় তাহলে নিয়োগকৃতরা রাজনৈতিক সেবায় মনোযোগ দেবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকারের ওপর সংস্কার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব দিয়ে সংস্কারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া  হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় আসার পর জুলাই সনদের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে জনগণ সেই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭ মে ২০২৫, /বিকাল ৫:২০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit