স্পোর্টস ডেস্ক : সান মামেসে গতকাল আধিপত্য ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরই। ৭৪ শতাংশ বল পজেশন আর গোলে নেয়া ১৬টি শটের ৬টি লক্ষ্যে রেখেও গোলের দেখা পায়নি তারা। অন্যদিকে মাত্র ৩টি শটের একটি লক্ষ্যে রেখেও জয়সূচক গোলের দেখা পেয়েছে টটেনহ্যাম।
উত্তর লন্ডনের দলটার জাল অক্ষত থাকার ক্রেডিট অনেকটাই ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা এই সেন্টারব্যাক গতকাল ইউরোপা লিগের ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। এদিন পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থেকে মোট ১০বার বল ক্লিয়ার করছেন। ব্লক করেছেন একটি শট। এছাড়া রোমেরোর দেয়া ১৩টি পাসের ১২টিই সঠিক ছিল। গ্রাউন্ড ডুয়েলে পাঁচবারের তিনবার জিতলেও এরিয়েলে চারবারের তিনবারই জিতেছেন তিনি। তার বাড়ানো দুটি লংবলই লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছে।
একই সঙ্গে একটা রেকর্ডও অক্ষুন্ন রেখেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে রোমেরো পাঁচটি ফাইনাল খেলে পাঁচবারই জয় পেয়েছেন। তবে এর আগের চার ফাইনাল ছিল আর্জেন্টিনার হয়ে। ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনাল, ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২২ এর ফিনালিসিমায় জয় পেয়েছিল রোমেরোর দল। রোমেরোর জয়ের দিনে ইউরোপিয়ান ফাইনালে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছেন ক্যাসেমিরো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাঁচটি ও উয়েফা সুপার কাপের তিনটি ফাইনাল খেলে প্রতিটিতে জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম ফাইনালেই হারের স্বাদ পেলেন তিনি।
তবে রোমেরোর মতোই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছেন আন্দ্রে ওনানা। তবে এই রেকর্ড ভুলে যেতে চাইবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ক্যামেরুনিয়ান গোলরক্ষক। এখন পর্যন্ত খেলা তিনটি ইউরোপিয়ান ফাইনালের প্রতিটিতে পরাজিতের দলে জায়গা করে নিয়েছেন ওনানা। আর এই কীর্তি তিনি গড়েছেন ভিন্ন ভিন্ন তিনটি ক্লাবের হয়ে। যে কীর্তি আর কারো নেই। ওনানা প্রথম ফাইনাল হেরেছিলেনে ইউরোপা লিগেই, তাও আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষেই।
 ২০১৬-১৭ মৌসুমে ওনানা যখন আয়াক্সের হয়ে খেলেন, তখন তাদেরকেই ফাইনালে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ইউরোপিয়ান ট্রফি জেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরপর ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হারে ইন্টার মিলান। সে ম্যাচে ইন্টারের গোলবার সামালনোর দায়িত্বে ছিলেন ওনানাই। নিজেকে অপয়া ভাবতেই পারেন ওনানা।
 
 
কিউএনবি/আয়শা/২২ মে ২০২৫, /বিকাল ৫:১৫