সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন

ফুলবাড়ীতে বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে খোলা তেল হিসাবে॥

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২১ Time View

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : ফুলবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হঠাৎ করেই বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তবে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, হঠাৎ করে উপজেলার থানা হাট-বাজারের বড় বড় গোলামালের দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক লিটার বোতলজাত তেলের মূল্য ১৬৭ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৯০-১৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানে ভেদে ২০০ করেও নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল খুলে খোলাভাবে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিদিনের ন্যায় বাজারে গেছেন সাইদুর রহমান। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর সয়াবিন তেল কিনতে গেলে বোতলজাত তেল না পাওয়ায় খোলা তেল কিনে বাড়িতে ফিরেন। তিনি জানান, হঠাৎ করেই বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও। বাজার ঠিকভাবে মনিটরিং করলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অন্য এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গেলে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে খোলা তেল কিনতে হচ্ছে। ফুলবাড়ী বাজারের সুমন সরকার জানান, প্রায় দেড় মাস বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ না থাকায় এখন খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ী তপন কুমার জানান, বোতলজাত তেল সরবরাহ না থাকায় খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই কারণে সয়াাবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাল মজুত করে রেখেছেন, যা এখন বেশি দামে বিক্রি করছেন। এছাড়া দাম বাড়ার কারণে ভোক্তারা চাহিদার তুলনায় অধিক পরিমাণে তেল মজুত করেছেন। এতেও বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি ব্যবসায়ী ও ডিলারের কাছে মাল আছে। সবাই মজুত করেছেন। দাম বাড়ার আশায় তারা বাজারে সংকট তৈরি করেছেন। তাছাড়া মাল থাকলেই কয়েকগুণ বেশি মুনাফায় মাল বিক্রি করতে পারনছে। বর্তমানে অনেক তেলের ডিলার আগের মাল নতুন দামে বিক্রি করছেন।

‘আমার মনে হয় সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বাজার অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল কামাহ তমাল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলন না। আমাকে জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৩৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit