আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিবিসির প্রতিবেদন মতে, রুশ সরকারের সঙ্গে জো বাইডেন প্রশাসনের এক বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ, সাবেক মেরিন সেনা পল হুইলান ও রুশ-মার্কিন সাংবাদিক আসলু কুরমাশেভাকে মুক্তি দেয়া হবে। মার্কিন সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইভান গার্শকোভিচ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাশিয়ার ইয়েকাতেরিনবার্গে গ্রেফতার হন। এরপর চলতি বছরের ১৯ জুলাই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মার্কিন সরকার, তার সংবাদপত্র এবং সমর্থকরা এই রায়কে প্রহসন হিসাবে নিন্দা করে।
সাবেক মেরিন সেনা পল হুইলান যথাক্রমে মার্কিন, আইরিশ, ব্রিটিশ ও কানাডীয় নাগরিক। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মস্কোর একটি হোটেল থেকে আটক হন তিনি। মস্কোর অভিযোগ, তিনি একটি গোয়েন্দা মিশনে জড়িত ছিলেন।
৪৭ বছর বয়সি কুরমাশেভা মার্কিন সরকারের আর্থিক অনুদানে চলা রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির সাংবাদিক। স্বামী ও দুই বাচ্চার সঙ্গে প্রাগে ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুরমাশেভার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর তিনি রুশ সেনার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। সম্প্রতি গোপনে তার বিচার হয়। গত সপ্তাহে আদালতের কর্মকর্তারা জানান, তার সাড়ে ছয় বছরের জেল হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় রেডিও ফ্রি ইউরোপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই বন্দি বিনিময়ে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আরও তিন পশ্চিমা দেশে বন্দি মোট ২৪ জনকে মুক্তি দেয়া হবে। যার মধ্যে থাকবে আট রাশিয়ান নাগরিক। তাদেরকে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার যে আটজনকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের রুশ গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের একজন হলেন ভাদিম ক্রাসিকভ। জার্মান কর্মকর্তারা তাকে গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির একজন কর্নেল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
২০১৯ সালে বার্লিন পার্কে ক্রেমলিনের এক প্রতিপক্ষকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন ভাদিম। জার্মান মিডিয়া জানিয়েছে, তিনি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার একটি বিমানে রয়েছেন।
কিউএনবি/আয়শা/০১ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:৩৩