বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯৫ Time View

স্বাস্থ্য ডেস্ক : ডায়রিয়া নানা কারণে হয়ে থাকে তবে প্রধান কারণসমূহ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্রোটোজোয়া কর্তৃক ইনফেকশন হওয়া।

লক্ষণসমূহ : বারবার পাতলা পায়খানা হওয়া। শুরুর দিকে বমি হওয়া। এ ছাড়া ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতার কারণে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে মূল সমস্যাই হলো পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। পানি শূন্যতার লক্ষণগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় মৃদু পানিশূন্যতা, স্বল্প পানিশূন্যতা, এবং তীব্র পানিশূন্যতা।

মৃদু পানিশূন্যতা : এখানে পানি শূন্যতার তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না, বাচ্চা স্বাভাবিক থাকে। শুধু বারবার পাতলা পায়খানা হয়। স্বল্প পানিশূন্যতা এখানে বাচ্চা অস্থির থাকে, বারবার পানি খেতে চায়, চোখ বসে যায় এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।
তীব্র পানিশূন্যতা : এখানে বাচ্চা নেতিয়ে পড়ে, পানি খাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, চোখ অনেক বেশি বসে যায় এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা খুব বেশি কমে যায়।

চিকিৎসার মূলত দুটি অংশ

১) যে কারণে ডায়রিয়া হয়েছে সেটার চিকিৎসা করা। ২) পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা বা পানিশূন্যতার চিকিৎসা করা। ডায়রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস ঘটিত। তাই শুধু পানিশূন্যতার চিকিৎসা করলে শিশুরা সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়া যেমন : কলেরা এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। মৃদু ও স্বল্প পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে মূল চিকিৎসা হলো বারবার ওরস্যালাইন খাওয়ানো। আর তীব্র পানি শূন্যতা হলে বাচ্চাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আইভী বা শিরা পথে কলেরা স্যালাইন দেওয়া। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে  সবাইকে সচেতন হতে হবে।

লেখক: ইউনিট প্রধান, শিশু বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

কিউএনবি/অনিমা/২১ নভেম্বর ২০২৩,/সকাল ১০:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit