কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুরে গনপিটুনিতে গরুচোর নাঈমের নিহতের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত গনপিটুনিতে নিহত নাঈম ছিল একজন পেশাদার গরুচোর। এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ভান্ডারখোলা এলাকায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন বাড়িতে গরুচুরি হত। খোপদহি গ্রামের আব্দুল জলিল, ফারুক হোসেন, মোমিনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সরদার, ভান্ডারখোলা গ্রামের জামাল উদ্দীন শেখ, আব্দুল জলিল মোড়ল, হাড়িয়াঘোপ গ্রামের রশিদুল ইসলাম বিশ্বাস, রিয়াজ উদ্দীন বিশ্বাস-সহ বিভিন্ন গোয়ালঘর থেকে ইতিপূর্বে কয়েক লাখ টাকার গরু চুরি হয়ে যায়।
যে কারণে গরু চুরি ঠেকাতে এলাকাবাসিরা প্রতি রাতেই পাহারা দিয়ে আসছিল। ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রয়ারী সোমবার রাতে হাড়িয়াঘোপ গ্রামের আব্দুস সোবহানের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসি খবরপেয়ে চোরকে ধাওয়া দেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরটি ভান্ডারখোলা গ্রামে রাস্তার পাশে একটি টিউবওয়েলে বেধে পড়ে যায়। এলাকাবাসি সেখানে তাকে মারপিট করলে সে নিহত হয়। এদিকে গনপিটুনির শিকার হয়ে নিহত নাঈম ( ২৪) ছিল একচন পেশাদার গরুচোর। তার বিরুদ্ধে মূলগ্রামের প্রদীপ কংসবনিক, শংকর মন্ডল, ভোগতি গ্রামের কামাল হোসেন, দোরমুটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ খাঁ, নতুন মূলগ্রামের খলিলুর রহমানের বাড়িতে চুরির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছিল।
তাছাড়া চোর নাঈমের শিকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কেশবপুর ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া থানা সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরির মামলা ছিল। এদিকে গনপিটুনিতে গরুচোর নাঈমের নিহতের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিউএনবি/আয়শা/৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:৩৭