“” অনাকাঙ্খিতা নারী “”
বহুদিন জ্বলছে বিচ্ছেদের অনল, ধমণীতে রক্তক্ষরণ,
হঠাৎ দু’ফোঁটা চোখের জলের দর্পণে
এসেছো রক্তক্ষরণ থামাতে- হয় কি তাতে?
তবুও ধন্য হলাম তোমার পদচারণায়।
বিশ্বাস কর; অনেক আগেই পুড়ে গেছে ঘর
ছাই হয়ে সব ওড়ে ধুয়ে গেছে গহীন পদ্মার জলে।
অনেক দূরের পথ হেঁটেছি আমি-
আশার ভেলা ভাসাবো বলে,
জীবনকে নবরূপে সাঁজাতে গিয়ে
আজ আমি বড্ড ক্লান্ত পরিশ্রান্ত
অযথা আমাকে করো না অশান্ত।
একদিন তোমার ভালোবাসার দুয়ারে
একরাশ আবেগ আর অনুভূতি নিয়ে-
ভাসতে চেয়েছিলাম ছোট্র সুখের নীড়ে;
তুমি কথা রাখো নি, পেয়েছি অবহেলা,
নিজেকে সামলিয়ে কষ্টের লোনাজলে ফিরে এসেছি…
সেদিন তোমার পৃথিবীতে আমি ছিলাম
এক হতভাগিনী অনাকাঙ্খিতা নারী।
এখন আর একদম ভাবি না তোমাকে নিয়ে
তোমাকে না পাওয়ার অসহ্য কষ্টগুলো
জলাঞ্জলি দিয়েছি গঙ্গার জলে,
বেদনার জলকে করেছি চোখের কাজল
দুঃখই আমার বাদল রাতের পরম বন্ধু
এখন আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে এসো না;
পারলে নিজেকে সাঁজিয়ে নিও…
কিউএনবি/সাজু/৭ই মে, ২০১৮ ইং/রাত ৯:৩৩